ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইসরায়েলের অন্যতম দূরপাল্লার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘অ্যারো’ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুত ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই খবর পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন।
গত সপ্তাহে ইরানে নজিরবিহীন হামলার পর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইরান একাধিকবার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, এসব আক্রমণের বেশিরভাগই তারা আকাশেই প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, ইরান এখন পর্যন্ত ৪০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে এবং অসংখ্য ড্রোন পাঠিয়েছে। এর বিপরীতে ইসরায়েলও তাদের অ্যারো থ্রি, ডেভিড’স স্লিং এবং আয়রন ডোম সিস্টেম ব্যবহার করে আক্রমণ প্রতিহত করছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও ইসরায়েলকে সহায়তা করছে। পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা – থাড এবং প্যাট্রিয়ট প্যাক-২ মোতায়েন করেছে। মার্কিন এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের অস্ত্র সংকট সম্পর্কে অবগত এবং এটি সমাধানে কাজ করছে।
তবে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত, তবে অস্ত্রভাণ্ডার সংক্রান্ত বিষয়ে তারা এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয়।
বিশেষজ্ঞদের মত:
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের মিসাইল ডিফেন্স প্রজেক্টের পরিচালক টম কারাকো বলেন, “ইসরায়েল ও তার মিত্ররা একটানা প্রতিরক্ষায় ব্যস্ত থাকতে পারবে না। এখন দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
এদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা কমাতে ইসরায়েল টার্গেট করছে তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র, গুদাম এবং লঞ্চারগুলোকে। গত মঙ্গলবার ইসরায়েল ১২টি এমন স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করা হয়।
সুত্রঃ Prothomalo